কেমন জমবে বাংলা-ইংলিশ যুদ্ধ?

কেমন জমবে বাংলা-ইংলিশ যুদ্ধ?

শুক্রবার ৭ই অক্টোবর ঢাকাতে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ।

তিনটি ওডিআই ছাড়াও দুটি টেস্ট ম্যাচ হবে এই সিরিজে।

নেতৃস্থানীয় যে কজন উল্লেখযোগ্য ইংলিশ ক্রিকেটার ইনজুরি বা নিরাপত্তার যুক্তিতে বাংলাদেশ যাননি তাদের মধ্যে রয়েছেন ওডিআই অধিনায়ক ওয়েন মরগান, বোলার জেমস অ্যান্ডারসন এবং অ্যালেক্স হেলস। এছাড়া, মোটামুটি পূর্ণ শক্তি দিয়েই বাংলাদেশ গেছে ইংল্যান্ড।

কাগজে কলমে যে কেউই ইংল্যান্ডের এই দলকে বাংলাদেশের চেয়ে সবদিক দিয়েই এগিয়ে রাখবে। কিভাবে তাদের মোকাবেলা করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশে দল ?

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনসের প্রধান আকরাম খান স্বীকার করছেন কাগজে-কলমে ইংল্যান্ডের শক্তি বাংলাদেশের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সব ফরম্যাটের ক্রিকেটেই তারা এখন ভালো খেলছে।

ইংল্যান্ড অতি সম্প্রতি পাকিস্তানের সাথে একটি সিরিজ শেষ করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ প্রায় একবছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। আফগানিস্তানের সাথে তিন-ম্যাচের একটি ওডিআই সিরিজ জিততে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বাংলাদেশে।

কিন্তু তারপরেও আকরাম খান মনে করছেন সিরিজে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তানের মত দলকে যে পারফরমেন্স দিয়ে বাংলাদেশ সম্প্রতি হারিয়েছে, তেমন খেলতে পারলে ইংল্যান্ডকেও হারানো সম্ভব।

বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার এবং অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সাবেক কোচ শহিদুল আলম রতনও মনে করছেন, কাগজে কলমের শক্তিতে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও স্লো উইকেটের হোম-কন্ডিশনে বাংলাদেশ শক্ত প্রতিযোগী হয়ে উঠবে।

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

২০১৩ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়ন - ডারহাম

অস্তিত্বের সঙ্কটে কাউন্টি ক্রিকেট

একসময় ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটের কৌলীন্য ছিল প্রশ্নাতিত। সারা পৃথিবীর পেশাদার ক্রিকেটারদের প্রধান একটি লক্ষ্য থাকতো কাউন্টি খেলা।

কাউন্টি ক্রিকেটের সেই দিন এখন আর নেই।

বিশ্বের নামি-দামী তারকাদের কাছে এখন ভারতের আইপিএলের আবেদন আরো অনেক বেশি। কাউন্টি ক্রিকেটের মাঠে লোকও কম আসছে। সেই সাথে বাড়ছে স্পন্সরদের নিরুৎসাহ।

কাউন্টি ক্রিকেটের দুর্দিন স্বীকার করছিলেন হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্লাবের চেয়ারম্যান রড ব্রানসগ্রোভ। "আমি অনেক দিন ধরেই বলছি কাউন্টি ক্রিকেট এখন মরা-বাঁচার সন্ধিক্ষণে। এদেশে যে ৯৪ লক্ষ মানুষের এখনও ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহ রয়েছে তাদের স্থানীয় ক্লাব নিয়ে তাদের তেমন উন্মাদনা নেই। এই অবস্থা চলতে থাকলে ক্রিকেট শেষ পর্যন্ত গুটিকয়েক মানুষের খেলায় পরিণত হবে। টাকা পয়সার চরম অভাব তৈরি হবে।"

বাস্তবতা মেনে নিয়ে আইপিএলের ধাঁচে শহর-ভিত্তিক আটটি দল নিয়ে একটি টি২০ টুর্নামেন্ট চালুর পরিকল্পনা ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ড বা ইসিবি নিয়েছে। ১৯টি কাউন্টি ক্লাবের ১৬টিই তা সমর্থন করেছে।

কাউন্টি ক্রিকেটের কেন এই সঙ্কট এবং আরো একটি ফ্রাঞ্চাইজি টি২০ লীগের ভবিষ্যৎ কি হতে পারে ?

লন্ডনে ক্রিকেট লেখক এবং বিশ্লেষক আশীষ রায় বলেন, এ ধরণের আরো চার-পাঁচটি টি২০ লীগ -- ভারতের আইপিএল, অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ, বাংলাদেশের বিপিএল--বেশ কবছর ধরেই চলছে।

"ফলে ইংল্যান্ড যদি আরো একটি লীগ নিয়ে আসে সেটা রিপিটিটিভ হিসাবে গুরুত্ব হারাতে পারে।"

তিনি বলেন, বিশ্ব তারকাদের আকৃষ্ট করার একটা চ্যালেঞ্জও থাকবে। "নির্ভর করছে কত টাকা ইসিবি ক্রিকেটারদের দিতে পারবে।"