গত মৌসুমেই মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার কথা ছিল কিন্তু ছাড়তে পারেননি শেষ পর্যন্ত। এই মৌসুমে দেখলেন ক্লাব ক্যারিয়ারের প্রথম লাল কার্ড। এর আগে আর কতবার লাল কার্ড দেখেন মেসি?
বিস্তারিত যদি জানতে চানস্পেন
লিন্ডা প্রেসলি
বিবিসি নিউজ
স্পেনে নতুন কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে ধূমপান নিষিদ্ধ
স্পেনের গ্যালিসিয়া প্রদেশে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার জনসমক্ষে ধূমপান কার্যত নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
প্রাদেশিক সরকার এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রাস্তা-ঘাট, হোটেল, রেস্তেরা বা বারে যথেষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না থাকলে ধূমপান নিষিদ্ধ থাকবে।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এই প্রদেশে জনসমক্ষে ধূমপান নিষিদ্ধের এই সিদ্ধান্তের পর স্পেনের অন্যান্য আঞ্চলিক সরকারও তা বিবেচনা করছে।
স্পেনে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় সরকারের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জুন মাসে যেখানে সংক্রমণ ছিল দিনে দেড়শরও কম, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দিনে কমপক্ষে দেড় হাজার।
গতমাসে স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, করোনাভাইরাস ছড়ানোর সাথে ধূমপানের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন - প্রথমত, ধূমপায়ীরা ফেস-মাস্ক পরেননা। তাছাড়া যখন তারা ধোঁয়া ছাড়েন তার সাথে ড্রপলেটস বা ক্ষুদ্র লালাবিন্দু বের হয় যাতে করে অন্যের সংক্রমিত করার ঝুঁকি তৈরি হয়।
কোভিড ঠেকাতে ধূমপানের ওপর বিশ্বের অন্যান্য কিছু দেশেও বিধিনিষেধ বসানো হয়েছ।
ব্রিটেনের এক গবেষণা বলছে, কোভিড প্যানডেমিক শুরুর পর গত কয়েক মাসে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন।
Copyright: Getty ImagesImage caption: কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে স্পেনের গ্যালিসিয়া প্রদেশে জনসমক্ষে দূমপান নিষিদ্ধ ব্রিটেন ও ইইউর পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দিল স্পেন
স্পেনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা জরুরি অবস্থা তিন মাস পর তুলে নেয়া হয়েছে, দরজা খুলে দেয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইইউ’র শেংগেন অঞ্চল এবং ব্রিটেন থেকে এখন পর্যটকরা স্পেনে আসতে পারবেন।
তবে তাদেরকে বিমানবন্দরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করাতে হবে, এবং জানাতে হবে তারা আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা। যোগাযোগের ঠিকানাও দিতে হবে।
সামাজিক দূরত্ব রক্ষার নিয়মও বহাল থাকছে। প্রকাশ্য স্থানে লোকজনকে দেড় মিটার দূরে দূরে থাকতে হবে।
দোকানে, গণপরিবহনে এবং যেসব জায়গায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা সম্ভব নয় সেখানে মুখে মাস্ক পরতে হবে। বার বার হাত ধুতে হবে।
স্পেনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সবচেযে গুরুতর চেহারা নিয়েছিল। দেশটিতে কোভিড -১৯ আক্রান্ত হয়ে ২৮ হাজার ৩০০রও বেশি মানুষ মারা গেছে , এবং মৃত্যুর এই সংখ্যা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে তৃতীয সর্বোচ্চ।
Copyright: GETTY IMAGESImage caption: স্পেনের অর্থনীতির জন্য পর্যটন খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্পেনের লা লিগা আবার শুরু হতে পারে ১২ই জুন
খেলোয়াড়দের ভাইরাস টেস্টিং শুরু হয়েছে
স্পেনে সর্বোচ্চ স্তরের পেশাদার ফুটবলের কর্তৃপক্ষ আশা করছে, মার্চ মাসে বন্ধ হয়ে যাওয়া লা লিগা হয়তো আগামী ১২ই জুন আবার শুরু হতে পারে।
গত সপ্তাহে লা লিগার খেলোয়াড়দের ভাইরাস টেস্টিং শুরু হয়েছে, ট্রেনিং আবার শুরু করা এবং ফাঁকা স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
স্প্যানিশ ফুটবলের উচ্চতম দুটি ডিভিশনের ৫ জন খেলোয়াড় কোভিড-১৯ পজিটিভ বলে চিহ্নিত হয়েছেন, তবে লিগ প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার টেবাস বলছেন, নিয়মিত টেস্ট করলে খেলোয়াড়দের খেলার সময় সংক্রমিত হবার ঝুঁকি কার্যত শূন্যে নেমে আসবে।
স্পেনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ গুরুতর আকার নিয়েছিল, তবে এখন লকডাউন বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে।
Copyright: Getty ImagesImage caption: স্পেনের লা লিগা হয়তো জুনে আবার শুরু হতে পারে স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখের ওপর
স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে দেশটিতে নিশ্চিতভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ২১০য়ে।
গতকাল থেকে আরও প্রায় ৪০০ জনের মৃত্যুর খবর দেয়া হয়েছে। এর ফলে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ হাজার ৮৫২।
কোভিড নাইনটিনে বিশ্বে সর্বাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে আমেরিকায়। এরপরই তালিকায় দু নম্বরে আছে স্পেন। এই তথ্য এসেছে জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে।